প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেছে ১০ দিন আগেই। সে অনুসারে পশু কেনা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর্বও শেষ করেছেন অনেকে। আগামীকাল রোববার ১০ জুলাই সারাদেশে ত্যাগের মহিমায় চিরভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। করোনা মহামারির অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে গত দুই বছর আনন্দ-উৎসব ফিকে হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য গত রমজানের ঈদে করোনার স্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ছিল দেশব্যাপী। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরে যান। তবে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। গত কয়েক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাড়ছে সংক্রমণ। তবু আনন্দ তো আর থেমে থাকে না। করোনা উপেক্ষা করেই বাড়ির পানে ছুটছেন মানুষ। মহামারির দুঃখ-কষ্ট-ক্লেশ, স্বজন হারানোর বেদনাকে এক পাশে রেখে মানুষ উদ্দীপনা নিয়ে ঝুঁকছে উৎসবের দিকে।'
-রাজধানীতে অনেকেই কোরবানির পশু কিনে ভবনের কার পার্কিং ও সামনের ফুটপাতে রেখেছেন। পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে বিকোচ্ছে তাজা কাঁঠালপাতা, খড়-বিচালি-ভুসি ইত্যাদি। চলতি পথে প্রায়ই চোখে পড়ে গলায় রঙিন কাগজ ও জরির মালা জড়ানো হূষ্টপুষ্ট ষাঁড়ের দড়ি ধরে ঘরমুখো চলছেন কোরবানিদাতারা। গবাদিপশুর ডাকও বেশ শোনা যাচ্ছে এখানে-ওখানে।
'ইসলাম ধর্মমতে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.) তাঁর ছেলে হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু আল্লাহর কৃপায় হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়। সেই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু কোরবানি করে থাকে। উদ্দেশ্য আলল্গাহর অনুগ্রহ লাভ করা। ঈদের পর দুই দিন পর্যন্ত (১১ ও ১২ জিলহজ) পশু কোরবানি করার বিধান রয়েছে। কোরবানি দেওয়া আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ওয়াজিব। সাধারণত উট, দুম্বা, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া এসব পশুই কোরবানি করার বিধান রয়েছে। তবে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে সব লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, ক্রোধ, স্বার্থপরতা তথা ভেতরের পশুত্বকে ত্যাগের মধ্য দিয়ে আত্মশুদ্ধি লাভের ভেতরেই রয়েছে কোরবানির প্রকৃত তাৎপর্য।'
কাল পবিত্র ঈদুল আজহা
-এই ঈদে পশু কোরবানিই প্রধান ইবাদত। ঈদের জামাত আদায় করে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন কোরবানির জন্য। ঈদের জামাতে ব্যক্তি, সমাজ, দেশ, মুসলিম উম্মাহ এবং সারাবিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে।
'পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, বিএনপি মহাসচিব ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বাণী দিয়েছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ঈদ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে। ঈদের দিন সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নত ও বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।'
-এ দিকে এবার ঈদ যেন বিষাদে রূপ না নেয়- সে বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের অভিমত, অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।